top of page

Poems for Poetry Participants (Choose one):

1

চড়ুই

মনজুর কাদের

চড়ুই

দুুইটি ডানা ছোট্ট এদের

পা দুখানি সরুই

সুড়ুৎ

দেখতে কী যে ভাল্লাগে ভাই

ওদের ফাড়ুৎ ফুড়ুৎ

আশা

সকল চড়ুই এসে করুক

আমার ঘরেই বাসা

2

কাক

কাক করে কা কা

সারাদিন ওর হয়

ডালে বসে থাকা

ঝড় এলে তবু

কাকভেজা হয়ে থাকে

খুব জবুথবু

যতো কালো হোক

কাজলের মতো কালো

কাকেদের চোখ

মিলে মিশে থাকে

ও পাড়ার কাকি আর

এ পাড়ার  কাকে

3

সাপ

মনজুর কাদের

ভয় পেয়ে যায় চমকে পিলে

ওরে বাপরে বাপ

যখন দেখি সাপ

সাপকে নিয়ে গল্প আাছে

যতোই আগে পিছে

বেশির ভাগই মিছে

 

কানে ওরা প্রায় শোনে না

চোখের নজর ক্ষীণ

ভাবছো কোনো দিনও?

হাজার রকম সাপের মাঝে

কতেক বিষের সাপ

বাকিরা নিষ্পাপ

যতোই ফনা তুলুক এবং

গাল ফুলিয়ে সাজুক

সাপরা খুবই লাজুক

4

কুকুর

শখ জেগেছে খোকার এবং

শখ জেগেছে খুকুর

ঘরে এনে পুষবে ওরা 

ছোট্ট ছানা কুকুর

আদর করে হাত বুলাবে

সকাল দুপুর রাত

যত্ন করে খাইয়ে দেবে

দুধ মাখানো ভাত

যতোই করুক আদর ওকে

একটা তো খুঁত আছে

সুযোগ পেলেই যায় পালিয়ে

দৌড়ে মায়ের কাছে

5

একসাথে বাঁচা

মনজুর কাদের

একসাথে বাঁচলেই

ঠিকঠাক বাঁচা হয়

একা একা বাঁচে যারা

শুধু পরগাছা হয়

একা একা বাঁচবো না

তুমি আমি পশু কি?

একা একা বাঁচে যারা 

তারা বড়ো অসূখী

হেসে খেলে ফুরতিতে

মিলে মিশে থাকা চাই

এপাড়ায় ও পাড়ায়

সম্প্রীতি আঁকা চাই

একসাথে বাঁচলে 

সংকটে বল হয়

নিরেট বিপদ গুলো

গলে গিয়ে জল হয়

6

শিশু

মনজুর কাদের

রঙধনু ধার করে

রঙ তোর গাল থেকে

ফসলের খেত নাচে

তোর সুর তাল থেকে

 

তোর দুই ঠোঁট দেখে

গোলাপের কলি হয়

মসৃন ত্বক দেখে

নদী তীরে পলি হয়

কোকিলেরা গান গায় 

তোর সুর ধার করে

মেঘেরাও তোর দুখে

খুব মুখ ভার করে

তুলতুলে দু পা ফেলে

তোর দেখে হুটোপুটি

প্রজাপতি ফরিঙেরা

ডালে করে লুটোপুটি

কারা যেনো তোর মুখে

সৌরভ রেখে দেয়

মাখনের দলা এনে

দুই পায়ে মেখে দেয়

প্রতিরাতে চাঁদ এসে

তোর মুখ দেখে যায়

রাত এসে টুপ করে 

ভোরটুকু রেখে যায় 

জীবনের সব দুখ

অবসাদ চাপা রেখে

জননীর কী যে সুখ

তোর হাঁটি পা পা দেখে

7

আমাদের বাড়ি এসো

মনজুর কাদের

আমাদের বাড়ি এসো একদিন  বিকেলে

আগে ভাগে বলে দিও খুশি হবে কী খেলে

দই দিয়ে চিড়া হবে? ক্ষীর ননী  ঘী  ছানায়?

জানা চাই শুতে চাও কীরকম বিছানায়

সংকটে মমতায় প্রীতি স্নেহ

ধারাতে

লোকে লোকে ভাব খুব আমাদের পাড়াতে

এ গাঁয়ের সকলেই ও গাঁয়ের অতিথি

জাতে পাতে খুঁজে পাবে সম্প্রীতি প্রতীতি

ঝেড়ে ফেলে হাসিমুখে ছোট খাটো খুঁত সব

এ পাড়ার পার্বনে ও পাড়ার উৎসব

খোকাখুকু রোজ আসে এপাড়ায়

খেলতে

এরা যায় ও পাড়ায় নিশ্বাস 

ফেলতে

ভাগাভাগি করে নেয় সুখ দুখ কান্না

ও পাড়ায় রোজ যায় এপাড়ার রান্না

ভেদাভেদ নেই কোনো সাহা আর মির্জায়

পাশাপাশি উপাসনা  মসজিদ ও গির্জায়

মাছ গোশ আনাজের খুব বেশি দাম নেই

সরকারি কাজ চলে  সকলের সামনেই

জুলুমের আঁচরওতো পড়ছেনা কারো গায়

বন্ধুর মতো থাকে পুলিশ আর দারোগায়

কারো কোনো মন নেই ঝগড়া ও বিবাদে

সরকার  সব কাজ করে দেয় ফি বাদে

গোলাভরা ধান চাল ঘরে ঘরে চাষীদের

মমতায় খাঁদ নেই ফুফু  খালা মাসীদের

বিবাদ আর হানাহানি 

ওইসব কিছু নেই

প্রতি দিন শিস দেয়া

পাখিদের পিছু নেই

8

বিষ্টি হলেই

বিষ্টি হলেই আমার কেবল ইচ্ছে করে ভিজি

মায়ের নজর ফাঁকি দেয়ার কাজটাতো নয় ইজি

বিষ্টি হলেই লুকিয়ে পড়ে কাঠ বেড়ালি ঝিঁঝিঁ

মা বলে হও অংক এবং ভূগোল পাঠে বিজি

 

ভাল্লাগেনা এখন আমার বইও খাতা হাতরতে

আমার কেবল ইচ্ছে করে সাত দিনে ও সাতরাতে

পিছল পথে হাঁটতে এবং দীঘির জলে সাঁতরাতে

মা বলেছে হবেই হবে সর্দি জ্বরে কাতরাতে

 

উজিয়ে ওঠা পুঁটির গায়ে লালচে রেখার আলপনা

খুনসুটিতে ব্যস্ত যখন শোল গজারের লালপোনা 

আমার তখন হয় যে শুরু স্বপ্ন রঙিন জালবোনা

মনের এসব আনন্দ কি পরাণ থেকে ঢালবো না?

বিষ্টি হলেই আমার কেবল ইচ্ছে করে ভিজি

মায়ের নজর ফাঁকি দেয়ার কাজটাতো নয় ইজি

বিষ্টি হলেই লুকিয়ে পড়ে কাঠ বেড়ালি ঝিঁঝিঁ

মা বলে হও অংক এবং ভূগোল পাঠে বিজি

9

শৈশব /

‌খালেদ সরফুদ্দীন

খাবার শে‌ষে আরো আছে

বি‌কেল বেলায় আজ

ইচ্ছ‌ হ‌লে সাজ‌তে পা‌রো 

পুতুল খেলার সাজ ,

ক‌নের গলায় মালা দিও

বর‌ের মাথায় তাজ 

তু‌মি এলেই কর‌বো শুরু

আ‌রো অনেক কাজ।

এ‌সো এসো চ‌লে এসো

আনন্দ‌‌ রঙ পাতি ,

যাত্রা শুরু কর‌তে পার‌ি

রঙের চড়ুইভা‌তি !

হা‌রি‌য়ে যাওয়া শৈশবই হোক

উজ্জ্বলতার বা‌তি ,

‌শৈশব কে খুঁজ‌তে গি‌য়ে

সকল মাতামাত‌ি !

10

ইচ্ছে‌ হলে 

অন্যভা‌বে 

আঁকো /

‌খালেদ সরফুদ্দীন

আচ্ছা তু‌মি চাঁদ‌কে য‌দি মামা ব‌লে ডা‌কো

খালাম‌ণি কিম্বা ফু‌ফির তারা নামই রা‌খো !

চাচ্চু হ‌বে সবার সা‌থে ভা‌লোবাসার সাঁ‌কো

আঁ‌কো তু‌মি ইচ্ছ‌ে হলে অন্যভা‌বে আঁকো !

তার‌চে বরং চ‌লে এসো কোথায় আবার যা‌বে ?

কলাপাতার ছা‌দের নী‌চে এলে সবাই পা‌বে

‌পেয়ারা শসা পেঁয়াজপাতা ইচ্ছ‌েমতো খা‌বে

চটজল‌দি আস‌তে পা‌রো না এলে পস্তা‌বে !

11

ফি‌রে যা‌বো /

খালেদ সরফুদ্দীন

আ‌মি ভাই ফি‌রে যা‌বো আমা‌দের বাড়ি

খুব তাড়াতাড়ি খুব তাড়াতাড়ি

আমার বাড়ির পা‌শে চ‌লে রেলগাড়ি

‌ঝিক মিক‌ ঝিক ঝিক মিক ঝিক

ঘু‌রে ঘু‌রে বেড়া‌বো এদিক ও‌দিক ।

গা‌নে গলা মিলা‌বো মোহনীয় সু‌রে

ঘু‌রে ঘু‌রে বেড়া‌বো পু‌রো গ্রাম জু‌ড়ে

আ‌মি ভাই ফি‌রে যা‌বো স‌লিমপু‌রে ।

‌ঝিক মিক ঝিক ঝিক মিক ঝিক

ঘু‌রে ঘু‌রে বেড়া‌বো এদিক ও‌দিক ।

একমাস ছু‌টি নে‌বো খুব তাড়াতাড়ি

‌দেখ‌তে যা‌বো আমি সবু‌জের সারী

আম‌ি ভাই ফি‌রে যা‌বো আমা‌দের বাড়ি

‌ঝিক মিক ঝিক ঝিক মিক‌ ঝিক

ঘু‌রে ঘু‌রে বেড়া‌বো এদিক ও‌দিক ।

12

পা‌খি‌দের সা‌থে আজ ঊড়‌বো /

খালেদ সরফুদ্দীন

এই এখানে ইচ্ছেমতো যার যা খুশি  

লিখতে পারো ,বলতে পারো কথা ,

কানামাছি ভাবনাগুলো যত্নকরে পুষি

এই গ্রহতে মুক্তহলো ইচ্ছের স্বাধীনতা ।

আমি আমার ইচ্ছে নিয়ে খেলি

তুমি তোমার মুক্তমনে ভাবো,

যদি বলি ফুলের রাজা বেলি

ইচ্ছে হলে দুজনেই চমকাবো ।

স্বাধীনতা  য‌দি হয়  ইচ্ছ‌ের খেলা 

দল‌বে‌ধে ঊড়‌তে  পা‌খিরাই জা‌নে ,

সুনশান ভাস‌ছে  পা‌খি‌দের ভেলা

ইচ্ছ‌ে‌তো ঊড়ে যাই আমা‌কেও টা‌নে ।

ঊড়েঊড়ে  বাতা‌সে  ভে‌সে যাও

ইচ্ছ‌ের খুশি‌তে আজ শুধু ঘুর‌বো ,

কারকার ভা‌লো লা‌গে এসে যাও

পা‌খি‌দের সা‌থে আজ ঊড়‌বো !

13

 লজ্জা কী যদি শিখি, থাকে কিছু শেখবার 

 - শাম্ স চৌধুরী রুশো

মশরুর মশগুল  খুঁজে ফেরে  ছানাদের 

মাঝ পথে বাঁধ সাধে দল এক কানাদের 

কানাদের জানা চাই 

কোথা থাকে রানা ভাই 

মশরুর ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলে, " না, না ভাই, 

আমি থাকি ওই গায়ে অত শত জানা নাই ।

খুঁজে ফিরি ছানাদের

তাড়া আছে নানাদের

আঁধারের আগে আগে সবাইকে আনা চাই ।

এই বাড়ি অই বাড়ি দৌঁড় পাড়ি টানা তাই । "

" রানা ভাই খাসা লোক 

ভালোবাসা ঠাসা লোক 

রাতদিন  অকাতরে সেবা করে মানুষের ।

সব্বার ভাই তিনি, বাবা শুধু আনুশে'র ।

আনুশে'র সাথী তারা,

মুন আর  রাতি, জারা

বাতি ছাড়া মাঝে মাঝে রাত্রিতে হাতরায় । 

পুছলেই ব্যাখ্যা দে' অতি উঁচু মাত্রায় : 

' অন্ধকে কানা বলো 

শিশুদের ছানা বলো 

ব্যাপারটা কী ভীষণ...ভেবেছো কি একবার ?

লজ্জা কী যদি শিখি, থাকে কিছু শেখবার । ' "

14

বয়স যখন চার 

                   - শাম্ স চৌধুরী রুশো 

ঘোর চাকা ঘোর চাকা ঘোর রে, 

আমি এক বড় কাকা তোর রে ।

গজ ফুট মাপ দিয়ে হয় কি, 

বয়স সে বসে বসে রয় কি ? 

দুই তিন এসেছি তো পেড়িয়ে, 

দশে যাবো সামান্য দেরি এ - 

তারপর এক লাফে আঠারো,

গতি তাই বেড়ে যাবে হাঁটারও ।

পিচ্চি পিচ্চি সেই পোনাটা, 

ছিনিয়ে আনবে দেখো সোনাটা । 

দেশ মহাদেশ পুরো বিশ্ব, 

জেনে যাবে আমি কার শিষ্য ।

কারো কথা কখনো কি লিখেছি ? 

সব থেকে কিছু কিছু শিখেছি । 

চল চাকা চল চাকা চল রে, 

এবার তো তোর কথা বল রে ।

15

তিনি বড়ই স্বাস্থ্যবান    ।।  শাম্ স চৌধুরী রুশো

তিনি বড়ই স্বাস্থ্যবান 

ভোর সকালে একটা মুরগী আস্তখান

সাথে গিলেন দশটা পান

স্বাস্থ্যবানের যশটা চান

খাবার শেষে সোডার সাথে গরম গরম নাস্তা খান

দু' দু' প্লেট পাস্তা খান

চারশত পাঁচ  খাস্তা খান

ডিমের হলুদ ক্ষতিকর তাই, গুড়ের সাথে সাদা খান

নামটা তাহার দাদা খান

মাঝে মাঝে বাঁধা পান 

হজম কাজের সুবিধার্থে আধা কিলো আদা খান 

একটা ঘটি কফি খান

দুই শ' ছটি টফি খান 

বৌ-টা তাহার বলে, " ওগো, সুগারটা মাপান "

তিনি ঘার তুলে তাকান

মাথাটা দু' দিক ঝাঁকান

" চিনি খেলেই সুগার হবে, তাই তো গোলাপজান ?

আমি তো গুড় খাই আধখান 

চলো, সুর করে গাই গান 

' ও আমার গোলাপজান, আমি বড়ই স্বাস্থ্যবান... ' । "

16

দাপুটের শঙ্কা  - শাম্ স চৌধুরী রুশো

ফিটফাট বসনে

বেসামাল রসও নে' 

মাথা তার পুরাটুকু ফাঁকা 

চুল আছে ঘিলু নেই 

খাট আছে পিলু নেই 

অসময়ে যাকে তাকে ডাকা 

স্বভাবটা এমনি 

রাতকানা যেমনি 

আলোতেই হাঁক-ডাক রাজা 

আলো যেই নিভে যায়

তক্ষুণি ভিজে কাঁই 

বলে, ' কেউ, ঘন্টা তো বাজা ! '

17

বিড়াল ডাকে মিঁউ মিঁউ 

সনতোষ বড়ুয়া 

বিড়াল ডাকে মিঁউ মিঁউ 

বাঘ ডাকে গরগর,

বাঘের ভয়ে পালা পালা

বিড়ালকে ধর ধর।

আমরা হলাম বাঘে ভীতু 

আর বিড়ালের যম,

বিড়াল ধরে বাঘ বানাবে

এমন মানুষ কম। 

18

চুমকি 

সনতোষ বড়ুয়া 

আজ বড় ব্যস্ত আমাদের চুমকি

পুতুলের মা হলে চোখে থাকে ঘুম কি?

বিয়ে হবে বিয়ে হবে আজ ঠিক দুপুরে

তাই খুশি গান গায় পায়ে বাঁধা নূপুরে।

কত লোক খাওয়াবে কত দেবে গয়না

সব আছে ঠিকটাক আর দেরি সয় না।

এই আসে এই আসে বর তবু আসে না

চুমকির উড়ু মন কাজে মন বসে না।

হৈ চৈ ধুমধাম বর এলো বাড়িতে

রাস্তায় লাল বাতি দেরি তাই গাড়িতে।

খাওয়া হল বিয়ে হল বর কনে নিয়ে গেল রুমিকী

পুতুলের মা সেজে সেই থেকে একা হল চুমকি।

19

আলো অন্ধকার

 সন্তোষ বড়ুয়া

দিনের আলো যেমন ভাল

রাত্রিতো নয় তত, 

রাত মানে তো নিকষ কালো

অন্ধকারের মত।

মত মানে? অন্ধকারই

রাত কি দেখায়  পথ?

অন্ধকার কি আলোর মত

জগন্নাথের রথ?

একটু তবে ভাবতে পার

সঙ্গী হবে কার,

ভাবতে আলোর দিন শেষ হলে

সবই অন্ধকার।

অন্ধকারে ভয় কি আবার

একটু সবুর কর,

রাত শেষ হলে সূর্যটাকে

প্রানের মাঝে ধর ।

20

মিউ পিউ কিউ

সন্তোষ বড়ুয়া

একটি বিড়াল তিন ছানা তার

মিউ, কিউ, আর পিউ,

প্রত্যহ মা ডাকছে খোদা

একটু জ্ঞান দিও।

লেখাপড়ায় মন কারো নেই

ঘর থেকে ঘর ঘোরে,

ভোর না হতেই তিন পেটুকে

শব্দ করে দোরে ।

দুপুর বেলা মা ঘুমালে

ঘুরতে বের হয় পাড়া,

মা ডাকলে মিউ কিউ

কেউ দেয় না সাড়া।

চিন্তিত মা বেড়িয়ে পড়ে

খুঁজতে বাছাধন,

তখন বাতাস পাতায় কাঁপে

শন শন শন শন।

মা ডাকলে মিউ পিউ 

দৌড়ে আসে কিউ,

মায়ের শাসন লুকিয়ে দেখে

আড়াল থেকে পিউ।

21

রামগড়ু না ভুতের ছানা

ফকির,সেলিম

সুকুমারের খুকুরা যে

রামগড়ুকে চেনো

রামগড়ু না ভুতের ছানা

আজ থেকে তা মেনো

রামগডুরের নাম দিয়ে সব 

বন্ধ রাখে হাসা

সেই থেকে সব ভুতের ছানা 

ভুলতে থাকে ভাষা

রোজ রাতে সে আসে

মিটমিটিয়ে হাসে

আড় নয়নে ঘাড় ঘুরিয়ে

তাকায় আশেপাশে। 

দেখতে কেমন? 

বলতে মানা

নামটি যে তার ভূতের ছানা

নাকের ডগায় ডিগবাজী খায়

একুশ রকম হাতী

সে নাকি এক মামদো ভূতের

পুতের ঘরের নাতি। 

 

চোখ দুটো তার দীঘির মতো

নোখগুলোতে চুল

মাথার ওপর ছাতার মতো 

গাছগাছালির ঝুল

 

কানের নীচে পানের মতো 

সবুজ রঙ্গের লতি

যতোই তারে ভুত বলো সে

করবে নাকো ক্ষতি

 

চুলগুলো তার হুলের কাটা

ভুলেও কভু তাতে

হাত দিওনা খোকন সোনা 

কামড়ে দিও দাঁতে

 

ঘাড়ের ওপর ষাঁড়ের মতো

সিং দুটো তার সরু

কবিরা কেউ নাম দিয়েছেন

সে নাকি রামগড়ু

 

হালুম হুলুম শব্দ করে

অন্ধকারের রাতে

ভয় পেয়ো না ভুতের ছানা

খেলতে তারি সাথে। 

 

21

এতিম

ফকির সেলিম

নাম কি?

রুমকি

ভালো?

মুখ তার কালো

চোখ ছলো ছলো। 

 

রুমকির সাথে চুমকি নামের অন্য একটি মেয়ে

ফ্যালফ্যাল করে বিষাদের ঘোরে দেখছিল শুধু চেয়ে

বাবলু হাবলু জমির ছমির রহিম করিম বাবু

হত দরিদ্র শরীর ক্ষুদ্র ক্ষুধার জ্বালায় কাবু

 

চামড়া ওদের কামড়ে রেখেছে চিকন সুক্ষ্ম হাড়ে

তবুও ওদের কচি মুখগুলো সবার নজর কাঁড়ে

ত্বক ভরে আছে শখ করে যেনো অগনিত সব গোটা

নখগুলো সব এলোমেলো ভাবে বাড়ছে সুক্ষ মোটা

 

রোদে পুড়ে ওই ক্ষুধে মানুষেরা তামাটে বর্ণে লাল

অন্ন বস্ত্র শিক্ষা বিহীন ভাংগাচোরা সব গাল

জ্বর কাশি আর ঠান্ডার মতো অতি সাধারণ রোগে

নিয়ত নিত্য জ্বালিয়ে পিত্ত এই শিশুগুলো ভোগে

 

ঘুম নেই চোখে রুম নেই যাতে এলিয়ে ক্ষুদ্র গা

ক্লান্তি মেটাবে শান্তি জোটাবে এতিম হতভাগা

বাপ নেই কারো মা নেই কারো নেই প্রিয়জন কেউ

বাচ্চাগুলোর বুকভরা খালি দু:খের কালো ঢেউ

শরনার্থীর জীবন তাদের শেকড় বিহীন প্রাণ

এতিম শিশুকে হাতিমের মতো হাত খুলে করো দান। 

 

23

ডিজিটাল শিশু

ফকির সেলিম

যে শিশুটার জন্ম হলো মিনিট খানেক পূর্বে

ভাবখানা তার দেখলে পরে সবার মাথা ঘুরবে

 

ক্যামেরা তার চেনা খুবই লেন্সে হেসে মিষ্টি

ডিজিটালে বিজি শিশু জানান দিল কৃষ্টি

 

ফেসবুকে তার নাই জুডিদার ছবির পরে ছবি

ক্যামেরা কার হাতে ধরা সেইদিকেতে লবি

 

চোখদুটোতে ফোকাস দেয়া অটোমেটিক লেন্স

হাসতে হবে কখন ঠিকই  আছে যা তার সেন্স

ডিজিটাল এই ভূবনে আজ সেল্ফী তোলার যুগে

প্রযুক্তি তার রক্তে লাগা জ্বলবে তাতে ভুগে। 

24

পোকা

ফকির সেলিম

লাল পিঁপড়ার গালের ওপর খোকন মারে টি'প

মাছিতে দ্যায় হাঁচি আবার জোনাক জ্বালে দ্বীপ

 

ফড়িং মিয়া ঠ্যাং তুলিয়া লম্ফ দিলো ঘাঁসে 

খোকন তাতে তুললো হাতে খিলখিলিয়ে হাসে

 

প্রজাপতির ডানায় ব'সে রংয়ের মিনি হাট

তাইনা দেখে মৌমাছিদের বাড়ল কিযে ডাঁট 

 

মৌমাছিরা বৌ নিয়ে সব ফুলের কাছে গিয়ে

প্রশ্ন করে 'রং দিলি ক্যান প্রজাপতির গায়ে?'

 

ফুলেরা যায় ভড়কে তাতে মৌমাছিদের ত্রাসে

রংয়ের কথা ঢাকতে তারা খুকখুকিয়ে কাঁশে 

মৌমাছিদের রানী এবং ফুল হয়ে যায় সখা

ডাঁট দেখানো মৌমাছিদের মারল কষে বকা। 

25

ডাকছে মা// মামুন জামিল 

ইচ্ছে করে যাবো ফিরে লালসবুজের দেশে

বৃষ্টি মুখর বর্ষা দিনে কলার ভেলায় ভেসে!

দেখবো আমি বৃষ্টিস্নাত কদমফুলের রূপ

পুকুর পাড়ে গাছের ডালে মাছরাঙাটা চুপ !

ঐতো দূরে এঁকেবেঁকে শান্ত ছোট নদী

‘’মনু’ নামের অহংকারে বইছে নিরবধি !

তার পাশে ঠিক  ছবির মতো আমার প্রিয় গ্রাম

নিসর্গতে রূপের ছটা ছিটায় অবিরাম !

ফসল ভরা ধানেরক্ষেত আর গাছগাছালির বন

শুদ্ধ হাওয়ার স্পর্শ ছোঁয়ায় দুলছে সারাক্ষণ !

ফাগুন দিনে আকাশ জুড়ে রংবেরঙের ঘুড়ি

নাটাই হাতে কল্পনাতে আমিও সেথায় উড়ি!

ভরদুপুরে ঝিলের জলে শাপলা-শালুক তোলা

দূর আকাশে চিলের ডাকে মনটা আত্মভোলা !

ঘুঘুর ছানা দেখতে গিয়ে দিন করেছি পার 

উড়াল শেখার রহস্যটা  হলোনা উদ্ধার !

সারাটাদিন পাগলপারা তুমুল দস্যিপনা 

সন্ধ্যা হলে মায়ের কোলে আমি চাঁদের কণা !

মধুরসুরে মায়ের মুখে ঘুমপাড়ানী গান

শুনে শুনে ঘুমের দেশে ছোট্ট কোমল প্রাণ!

(সেই যে কবে  ঘুমিয়েছিলাম মায়ের আঁচল ধরে

পবিত্র সেই গায়ের সুবাস ভুলবো কেমন করে ?)

আহারে মোর ছেলেবেলা হিরন্ময়ী দিন

ভাসছে চোখে ছবির মতো ঝলমলে রঙিন !

নষ্টালজিক এই প্রবাসে   চমকে শুনি মায়

স্বদেশ থেকে ডাকছে- খোকা, বাড়ি ফিরে আয়

26

সেই ধর্মটা আমার নয়// মামুন জামিল 

কোন ধর্মটা বলো দেখি মিথ্যা বলা শিক্ষা দেয়,

অসৎ  হওয়ার তরে মানুষ ওখান থেকে দীক্ষা নেয়?

হত্যা খুনের পক্ষে বলো কোন ধর্মটা সাফাই গায় ,

পৃথিবীতে অশান্তি আর মানবাতার ধ্বংস চায় ?

জানি এসব প্রশ্নগুলো শুনতে লাগে অবান্তর ,

ধর্ম সে তো ‘’ওম শান্তি’র যুগ থেকে যুগ যুগান্তর !

এসেছিলেন যুগে যুগে মহাপুরুষ, মহৎজন

করতে সাধন মানবজাতির কল্যাণকর উন্নয়ন।

অসভ্য আর বর্বরতা সমাজ থেকে করতে দূর

আঁধার কেটে দেখিয়েছিলেন ধর্মালোকে স্নিগ্ধ ভোর।

সেই ভোরে তো খাদ ছিল না ,ছিলো শুধু আলোর রূপ

ঝলমলে সেই আলোক ছটায় ধরলো কেনো ভিন্ন রূপ?

ধর্ম নিয়ে কেনো এতো দ্বন্দ্ব এবং বিকৃতি ,

ধর্মালোকে হামলাকারী কী করে চায় স্বীকৃতি ?

সৃষ্টিসেরা সনদ পাওয়া যায়না বোঝা কর্মতে

মানুষ মেলায় অমানুষ সব হিংসা ভরা মর্মতে!

মানবতার ধ্বংসকারী যদি কোন ধর্ম হয়

তবে আমি শত্রু তাহার, সেই ধর্মটা আমার নয়!!

27

বাংলা আমার রূপকুমারী // মামুন জামিল 

চৈত্রদিনে  অলস দুপুর 

রৌদ্রতাপে তপ্ত পুকুর

চড়ুই পাখির বিরাট আসর

ব্যস্ত বাবুই গড়তে বাসর 

হচ্ছে ছবি রকমারি 

বাংলা আমার রূপকুমারী ।।

স্নিগ্ধ শিশির দূর্বাঘাসে

সূর্য হাসে পূব আকাশে

 কিষাণ ছুটে মাঠের পানে

রাখাল ছেলে  মত্ত গানে 

বাঁশীর সুরে মুগ্ধ নারী 

বাংলা আমার রূপকুমারী ।।

সতেজ সবুজ লাউয়ের মাচায়

দোয়েলপাখি পূচ্ছ নাচায়

শালিক পাখি  ধানের ঝাঁকে

কোকিল ডাকে বটের শাখে

শাপলাবিলে বকের সারি

বাংলা আমার রূপকুমারী ।।

গায়ের বধূ কলসি কাঁখে 

ছন্দতালে শরীর বাঁকে 

ঘোমটা ধরে টানছে হাওয়া

রাঙা  মুখে লজ্জা পাওয়া-

এ ধরণী   দুষ্টু ভারি 

বাংলা আমার রূপকুমারী !!

28

গাধা //মামুন জামিল

গাধা কিন্তু গাধার মতই খাটে

বোঝা টেনে সারাটা দিন পার,

যদিও তাকে দেখতে লাগে অলস

ধৈর্যশীল এক শ্রমিক জীবন তার !

 

কেউ দেখেনা কেমন তাহার রুচি

নাকের ডগায় ঝুলিয়ে দিলে মূলা

ক্ষুধা পেটে গন্ধ নেয়াই সার 

খাবার আশায় অনন্ত পথ চলা !

 

নিরীহ এক গোবেচারা প্রাণী

কারো সাথে পাছেও সেতো নাই,

তবে কেন গালির বেলা সবে

'গাধা' নামটি  সর্ব প্রথম চাই ??

29

দেখবে রোদের কতো খেলা

    শাহীন ইবনে দিলওয়ার

আব্বু বলেঃ ভোর হয়েছে

ঘুমিয়ে কেনো খোকা?

দেখবেনা অই ভোরের অরুণ

এই পৃথিবীর সখা।

ভোরের বাতাস ঝিরিঝিরি

আসবে বেয়ে সাগর গিরি

পালাবে সে না উঠলে

ভীষণ একরোখা।

ওঠো যদি সকাল বেলা

দেখবে রোদের কতো  খেলা

দেবে তোমায় ভোরের আশীষ

থাকবেনাতো বোকা।

30

 ভেদাভেদ কেনো করো?

  শাহীন ইবনে দিলওয়ার

জেনেও মানুষ বড়ো

ভেদাভেদ কেনো করো?

ভাঙ্গবার যতো পথ

বিভেদের যতো মত

তার থেকে দূরে সরো।

বিশ্বাস সকলের

নিজ নিজ্ ধর্মের

হাতে হাত ধরো ধরো।

31

 মিলটা দেখে অবাক হই

  শাহীন ইবনে দিলওয়ার

নয়টি মাসে দেশ পেয়েছি

ন'মাস মায়ের গর্ভে রই

স্বাধীনতার শ্বাশত এই

মিলটা দেখে অবাক হই।

বাংলা তুমি স্বাধীন হয়ে

মুখ রেখেছো বাঙালীর

ঘুচিয়ে দিয়ে ঘরকুনো নাম

সবাই হয়ে উঠলো বীর।

32

 মনে পড়ে সব

  শাহীন ইবনে দিলওয়ার

ছোটোবেলা গিয়েছে

মহা উল্লাসে

দাদীমার আদরটা

কে না ভালোবাসে?

মা বাবার স্নেহতো

প্রতি ক্ষণে ক্ষণে

দোয়া করতেন হই

সফল জীবনে।

নানা নানী খালাদের

কতো ভালোবাসা

মামাতো পুরিয়ে দিতো

যতো ছিলো আশা।

বড়ো ফুফু মেজো ফুফু

সেজো ফুফু ছোটো

সবার আদর ছিলো

নিজ্ নিজ্ মতো।

বড়ো চাচা মেজো চাচা

সেজো চাচা কতো

স্নেহের পরশে দিন

হয়েছে যে গতো।

বুড়ো হয়ে গেছি তবু

মনে পড়ে সব্

সবাইকে ভালো রেখো 

হে আমার রব্।

33

জনক/বাঙালী
মনজুর কাদের

আশার বলো
ভাষার বলো
সব অধিকার বাঙালীরা হারিয়েছিলো
সেই অধিকার
ফিরিয়ে নিতে
একটি মানুষ বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলো

এক আঙুলের
এক আদেশে
বাঙাল জাতী মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়েছিলো
পাকিস্তানের
দস্যুগুলোর
প্রাণের ভয়ে বুকের পাঁজর কাঁপিয়েছিলো

হারিয়ে যাওয়া
স্বপ্নগুলো
আবার কেমন আলোক পেয়ে কনক হলো
সব অধিকার
ছিনিয়ে এনে
শেখ মুজিবর আমার জাতীর জনক হলো

34
লালে আর সবুজে
মনজুর কাদের

দেশ ভালোবেসে পাও
ক' টাকা?
এতো কেনো ভালোবাসো
 পতাকা?
ভিড় করে লাল আর
সবুজেরা
এতে থাকে বুঁদ কেনো
অবুঝেরা?
কী কারণে দেহমন
আনচান?
দেশপ্রেম কেনো এতো
টানটান?
জিবনের সাজিয়েছো
বেশ ফ্রেম
তবু কেনো প্রাণে এতো
দেশ প্রেম?

স্বদেশের শ্বাস নেয় প্রতি পদে
পদে সে
দেহ থাকে দূরদেশে প্রাণ থাকে
 স্বদেশে
মনে প্রাণে লেগে আছে সাত রঙ
 তবু যে
স্বাধিনতা আঁকা আছে লালে আর সবুজে

35
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান
সনতোষ বড়ুয়া

শেখকে না ভালবেসেই যদি
কাটিয়ে দিলি দিন,
তোর সাথে দেখা হলেই আমার
গা করে ঘিন ঘিন।

হাজার বছর পরেও আসে না
এমন মুজিবর,
মুজিব না চেনে তুই রাজাকার
থেকে গেলি  বর্বর ।

একটি আঙ্গুল তর্জনী তার
আকাশ ছুঁয়েছে দেখ,
শেখ মুজিবের নামের আগে
জাতির পিতা লেখ।

একটি জাতির জন্ম বিকাশ
এমনি কি আর হয়?
মুজিব মানেই জাতির জনক
বাঙালির পরিচয়।

36
নেতা শেখ মুজিবর
সনতোষ বড়ুয়া


নতুন একটা দ্বীপ জাগছে নতুন একটা চর,
সেই বদ্বীপের রুপকার তিনি নেতা শেখ মুজিবর।

এমনি কি আর দ্বীপ জাগে বল, পলিমাটি ছাড়া কোন?
সেই পলিমাটি যোগান দিয়েছে বাংলার ভাই বোনও।

রক্ত দিয়েছে সম্ভ্রম সাথে উঁচু রেখে মাথা শির,
এই বাংলায় রাজাকার বাদে বাকিরা সবাই বীর।

আদেশ ছিল প্রস্তুত থেকো, শ্ত্রুরা তৎপর,
স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন গ্রেফতার অতঃপর। 

আমরা ছিলাম যুদ্ধ মাঠে নেতা কারাগারে বন্দী,
মৃত্যুর চেয়ে স্বাধীনতা শ্রেয় নেতা চায়নি সন্ধি।

মুক্ত বদ্বীপে ফিরেছেন নেতা চোখে জল উঁচু শির,
জয় বাংলা ধ্বনিতে কেঁপেছে এ বাংলা থির থির।

কোথায় ভুটটো কোথায় ইয়াইয়া বাঙালি যুদ্ধে জেতা,
আঙ্গুল জাগালে পুরো দেশ জাগে মুজিবর সেই নেতা।
 

You can register now using the following Google Forms link:

https://docs.google.com/forms/d/1z2l-lBGVz2W8E5ebW414hMnkfGcEStiJUtFpLUlUAZ8/viewform?edit_requested=true

Please read over the information below regarding the requirements/topics for each type of audition. 

For Dance and Singing Participants:

  •  Dance and singing participants must use a Bangla patriotic song for their audition.

  •  For singers, we will provide harmonium and tabla players for whichever song is chosen. Participants can also bring in and play their own instrument if preferred.

  •  Dancers must send the audio file/YouTube link for their chosen song to bipa.children.festival@gmail.com or they can bring a USB drive with the song on the day of their audition. 
     

Topics for Essay/Slide Presentation/Project Display (Choose one):

Essays can be written in English or Bangla. 

  1. Early life and education of the Father of Bangladesh Bangobondhu Sheikh Mujibur Rahman

  2. The Political Philosophy of Bangobondhu

  3. The Historical 6 Point Demand of Bangobondhu

  4. The Conspiracy Behind the Assassination of Bangobondhu

  5. The Historic 7th March Speech of Bangobondhu Sheikh Mujibur Rahman

  6. The dreams, desires and visions of the founding father of Bangladesh Bangobondhu Sheikh Mujibur Rahman 

**The best essay we receive will be published in a special festival publication**

 

Essay and PowerPoint submissions must be emailed to bipa.children.festival@gmail.com by January 31st at 11:59 PM.

There will be open drop-off sites for the Project Display submissions on January 31st (locations will be updated soon). 

List of Poems for Poem Recitation
Topics for Essay/PowerPoint/Project Display
Dancing and Singing
bottom of page